আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি
সরকারি আইন কে উপেক্ষা করে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদীসহ খাল-বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট ও কঁাথা জাল অবৈধ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে জাটকা, ডিমওয়ালা, পোনা মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী অকালে মারা যাওয়ায় জীববৈচিত্র হুমকিতে পড়েছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মৎস্যজীবিদের কাছ থেকে ম্যানেজ হয়ে যথাযথভাবে তদারকি ও অভিযান না চালানোর কারণে জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে ওই নিষিদ্ধ জাল অবাধে ব্যবহার করে যাচ্ছে ।
মধুমতির নদীর আলফাডাঙ্গা উপজেলার টিকরপাড়া, বানা, গোপালপুর, দীগনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে জেলেরা কারেন্ট ও কাঁথা জাল পেতে মাছ ধরছেন।এতে বড় মাছের পাশাপাশি ধরা পড়ছে জাটকা ,পাঙ্গাশ, রুই, কাতলা ও আইড় মাছ সহ দেশীয় সকল প্রজাতির মাছ নিধন করা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুমন লাল দেবনাথ বলেন,মৎস্যজীবিদের ম্যানেজের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ১৯৫০ সালে সরকারের জারি করা মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি কারেন্ট জালের উৎপাদন, বুনন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, বহন, মালিক হতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। আইন ভঙ্গ করে যিনি কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরবেন, তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা এক থেকে দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করে উপজেলার টিকরপাড়া এলাকার জেলে পরিতোষ,মহাদেব গং বলেন, এ সব জালে বেশি মাছ ধরা পড়ে বিধায় এ জাল ব্যবহার করছেন তারা।
নাম না বলা শর্তে উপজেলার এক মৎস্যজীবি দাবি করেন, তার উপজেলায় এখন প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ টন মাছ ধরা হচ্ছে। বেশির ভাগ মাছই শিকার হচ্ছে কারেন্ট ও কাঁথা জালে। এর ৬০-৬৫ শতাংশই জাটকা, দেশি জাতের ডিমওয়ালা মাছ ও মা ইলিশ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, কারেন্ট ও কাঁথা জালের বিষয়টি গুরুত ্ব সহকারে দেখা হবে। তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খতিয়ে দেখবো।
Leave a Reply