সদরপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ৪নং চরনাছিরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে ইউনিয়নের প্রকল্পের অনিয়ম দেখিয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই ইউনিয়নের ৯জন ইউপি সদস্য। গত জুলাই মাসের দিকে এ অভিযোগ করা হয়।
গতকাল সোমবার ওই অভিযোগের শুনানী সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে অভিযোগ দেওয়া ৯ইউপি সদস্যর ও সাবেক ইউপি সদস্য করিম মোল্যার লোকজন এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ইউনিয়ন পরিষদ অঞ্চলে জড়ো হয়। দুথপক্ষের লোকজন একত্রিত হওয়ায় তাদের মধ্যে কোন্দলের টানটান উত্তেজনা দেখা দেয় চরনাছিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের আশপাশে।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে সদরপুর থানা পুলিশ ওই পরিষদ কার্যালয়ে যায়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুথপক্ষের লোকজন পাল্টাপাল্টি শ্লোগান ও মিছিল দেওয়ার চেষ্ঠা করলে পুলিশ তা পন্ড করে দেয়।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে শুনানী করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান চরনাছিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে শুনানী করেন।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুনানী শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে শুনানী। শুনানীকালে উপস্থিত ছিলেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার।
জানা গেছে, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে ইউনিয়নের প্রকল্পের অনিয়ম দেখিয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই ইউনিয়নের ৯জন ইউপি সদস্য। অভিযোগকারী ৯জন ইউপি সদস্যদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জব্বার মাতুব্বর ও সাবেক ইউপি সদস্য আঃ করিম মোল্যা। অপরদিকে রয়েছে চেয়ারম্যানের সমর্থককারীগন।
এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য করিম মোল্যা জানান, এলাকার লোকজন আমাকে ডাকলে আমি যাই। এখানে নেতৃত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
ইউপি সদস্য মোঃ জব্বার মাতুব্বর বলেন, আমরা তদন্ত পূর্বক দুনর্ীতিগ্রস্থ চেয়ারম্যানের বরখাস্ত দাবী করছি।
ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আক্কাছ আলী বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তাদের মনগড়া। প্রতিটি প্রকল্পের কাজ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের এবং টেন্ডারের মাধ্যমে হয়েছে। আগামী ইউপি নির্বাচনে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে এমনটি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট দেওয়া হবে।
Leave a Reply