নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ব্রাকের শাখা অফিসের এক কর্মী প্রায় শতাধিক হতদরিদ্র গ্রাহকের বই থেকে প্রায় কোটি হাতিয়ে নিয়ে় পালিয়ে গেছে। প্রতারক ওই ব্র্যাক কর্মীর নাম জলিল। ব্র্রাকের প্রতারিত ওই সব হৃতদরিদ্র সদস্যরা কিস্তি আতংকের মধ্যে রয়েছে। ইতিমদ্যে ব্র্যাক থেকে তাদেরকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কামারখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ির গ্রামে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে ব্র্যাক সমিতির দলীয় প্রধান লাকি বেগমের বাডীতে উপস্থিত হন। প্রতারিত হওয়া বেশকিছু গ্রাহক তারা কি ভাবে প্রতারিত হলেন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সে কথা। এ সময় প্রতারিত হওয়া হামিদা বেগম বলেন আমার বই থেকে জলিল নামের ওই ব্যারাকের অফিসার ৭০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। এভাবে লিপি বেগমের বই থেকে ৫০ হাজার, তানজিলা বেগমের থেকে ৪০ হাজার, শাহিনা বেগমের কাছ থেকে ৮০ হাজার, বেগমের নিকট থেকে ৪০ হাজার, জবেদা বেগমের নিকট থেকে ৬০ হাজার, লাকি বেগম এর নিকট থেকে ৫৫ হাজার, নুরুন্নাহার বেগম এর নিকট থেকে ২০ হাজার, টাকা পপি বেগমের নিকট থেকে ৪৫ হাজার, ফাতেমা বেগমের নিকট থেকে ৫৫ হাজার,া এবং ফিরোজা বেগমের ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন ওই ব্যাককর্মী। কেন্দ্র প্রধান লাকি বেগমের স্বামী মোঃ শামসুল সাংবাদিকদের জানান শুধু আমাদের এই দল থেকে নয় পার্শ্ববর্তী সালামাতপুর, গন্ধখালি, কোমরপুর, গোমারা সহ বিভিন্ন গ্রামের সমিতির দল থেকে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যরা বলেন ব্র্যাক অফিসে যোগাযোগ করলে তারা উল্টো আমাদেরকে পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে এবং কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কামারখালী ব্যাক শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে় যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন প্রপার ডকুমেন্ট থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব তবে এই সদস্যদের কোনো ডকুমেন্টস নেই। স্বামীর স্বাক্ষর ছাড়া কেন টাকা দিলেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে় যান।
এ ব্যাপারে এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রাকিবুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বাবু বলেন এতবড় একটা ঘটনা আমাকে কেউ বলেনি তবে অবশ্যই আমি আমার এলাকার নিরীহ মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য আমি তাদের পাশে থাকব। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান মুঠোফোনে বলেন এলাকার হতদরিদ্র গরিব মানুষদের কাছ থেকে ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা প্রতারণার সাথে সেই সময়ের ম্যানেজার সরাসরি জড়িত,
আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কর্মী জলিলকে হাজির করা সহ সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য
ব্র্যাক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি অন্যথায় আমরা বিষয়টি নিয়ে় কঠিন কর্মসূচি হাতে
নেব।
Leave a Reply