সদরপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার প্রত্যান্ত চরাঞ্চল বেষ্টিত ও উপজেলা সদর ইউনিয়নের স্থানীয় গ্রাম্য বিরোধীয় মামলা গুলো এখন গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এতে করে প্রত্যান্ত চরাঞ্চলের মানুষ গ্রাম আদালতের প্রতি প্রতিনিয়ত অগ্রসর হচ্ছে।
সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে বর্তমান সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ(২য় পর্যায়) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে করে গ্রাম আদালত গ্রাম্যঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অনুগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুবিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।
সদরপুর উপজেলায় সদরপুর, ঢেউখালী, চরবিষ্ণুপুর, আকোটেরচর, চরনাছিরপুর,চরমানাইর ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয় রয়েছে।
জানা গেছে, গ্রাম আদালত হলো গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত হয় সে আদালত হলো গ্রাম আদালত। সহজ কথায় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ৭৫০০০টাকা মূল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যে আদালত বসে সে আদালতেই হলো গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালত গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অনুগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুবিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। এখতিয়ার সম্পূর্ন এলাকার জনগণ ফৌজদারী হলে ১০টাকা এবং দেওয়ানী হলে ২০টাকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে এই মামলা দায়ের করতে পারে। গ্রাম আদালতে মামলা করলে কোন আইনজীবির প্রয়োজন হয় না। যার কারনে মামলা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এই আদালত বসে। যে আদালতে বিচারক সংখ্যা হলো ০৫জন। দুই জন মনোনীত সদস্য থাকবেন আবেদনকারীর পক্ষে এবং ০২ জন সদস্য হবেন প্রতিবাদীর পক্ষে। যার মধ্যে একজনকে অবশ্যই হতে হবে সংশিষ্ট ইউপি সদস্য। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই বিচার অনুষ্ঠিত হয় বলে এখানে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।
গ্রাম আদালত বিষয়ে চরনাছিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আক্কাছ আলী বলেন, সরকারের গ্রাম আদালত বিষয় থাকার কারনে সাধারণ মানুষ তাদের বিচার ব্যবস্থা প্রত্যান্ত অঞ্চলে পাচ্ছে। নির্ধারিত ফি ব্যতিত অন্যকোনো অর্থ অপচয় হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ইউনিয়নের গ্রাম আদালত সহকারীগনরা বলেন, আমরা নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয় জনগনের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করি। এছাড়াও সাধারণ মানুষ নির্ধারিত ফি দিয়ে মামলা দায়ের করেন। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।
Leave a Reply