নিজস্ব প্রতিনিধি :
আওয়ীমীলীগে অনুপ্রবেশকারী, প্রবল ক্ষমতাধর, খুন, টেন্ডারবাজ, দূনর্ীতির মহরাজদের পতনে ফরিদপুরের সর্ব স্তরের জনগনের মঝে সস্তি ফিরে এসেছে। তারা এখন মুক্ত আকাশে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারায় সরকারকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি গা ঢাকা দেওয়া এসব দুষ্ট চক্রদের আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী করছে।
৭১ এর মানবতা অপরাধে ফঁাসির দন্ড প্রাপ্ত পালাতক আসামী জাহিদুর রহমান খোকনের দুই ভাগিনা রুবেল-বরকত। শহরতলী বিলনালিয়ার বিখ্যাত রাজাকারের মৃত মুজাহার চোকদার পুত্র এইচ এম ফুয়াদ, শহরের পুর্বখাবাসপুরের জামাতের রোকন শওকত আলীর ছেলে আসিফর রহমান ফারহান, সোভারামপুরের জামাতের রোকন ওয়াজেদ আলী ব্যাপারীর পুত্র ফাইন বিন ওয়াজেদ ফাইন, সাজ্জাত বাবু, তারা দলে যোগ দিয়ে যেমন বরকত শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, এইচ এম ফুয়াদ জেলা যুবলীগের আহবায়ক, ফাহিম জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক, ফারহান শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বিএনপি দলে অবস্থান করে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিলন পাল, বিএনপি নেতা বর্তমানে যুবলীগে এসেছে আজম খান (ছোট আজম), বিএনপি নেতা বিপ্লব, রানা, বাপ্পিসহ অনেক নেতাই আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের স্বর্গরাজ্য।
এসব দলে এসেই টেন্ডারবাজী, মাদব, চাঁদাবাজি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে টাকার পাহাড় গড়েছে। সংখ্যালঘুদের জমি দখল, সরকারী জমি দখল, জোর করে জমি লিখে নেওয়া, এলজিইডি ছাড়াও জেলার সব কটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজী ছিল তাদের নিত্য দিনের সঙ্গি। একেরপর এক খুন, প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতাদের উপর হামলা, বাড়িঘরে ভাংচুর, মামলা দিয়ে হয়রানী করে জেলাবাসীদের জিম্মি করে রেখেছিল ঐ চক্রটি। কেউ তাদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে পারে নাই। অসহায়ের মতো নিরব ভুমিকা পালন করেছে প্রশাসন। গত ৭ মে বিপুল পরিমান বিদেশী অস্ত্র, দেশী বিদেশী টাকা, ত্রানের চালসহ আটক হয় রুবেল বরকত। এরপর একে একে শহর আওয়ামলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম লেভি, শ্রমিকলীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারহান,ছাত্রলীগের শামীম আটক হয়। এরপরই শহরের মানুষ মুক্ত আকাশে মুখ খুলতে শুরু করে।
ইতিমধ্যে ২হাজার কোটিটাকার মানিলন্ডারিংয়ের মামলা,হয় রুবেল,বরকত ও এই লুটেরা বাহিনির বিরুদ্ধে।
জেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা বলেন, আমরা এতদিন ঘরমুখো ছিলাম। আমরা দলীয় কার্যক্রমে যেতে পারি নাই। বরকত-রুবেল-ফুয়াদ বাহিনী আমাদের দলীয় কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে।
এরা স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি ফুয়াদ বিলনালিয়ার বিখ্যাত রাজাকার মুজাহার চোকদারের ছেলে। নিজেও ছাত্র জীবনে শিবিরের অনুসারী ছিল। বাকশালী লায়েকুজ্জামান ও আবদুল বাতেনের হাত ধরে প্রথমে বাকশাল পরে আওয়ামলীগার বনে যায় ফুয়াদ। ভাগ-বাটোয়ারার সুযোগ পেয়ে নাসিম,মিনার,ডেবিটসহ অর্ধশত সন্ত্রাসী গ্রুপের একটি বাহিনী তৈরী করে। তারাই রামরাজত্ব করেছে ফরিদপুরে।
ফরিদপুরের এই লুটেরা দুর্বৃত্তদের বাঁচাতে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু করেছেন বাকশালী লায়েকুজ্জামান, আব্দুল বাতেন, মাহবুব।এদেরকে এখনি প্রতিহত না করলে লুটেরা দুর্বৃত্তরা পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ফরিদপুরবাসী। এই দালালচক্রটিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুরবাসী।
জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ বলেন, ফুয়াদের আওয়ামীলীগ নিয়েও সন্দেহ আছে। অনেক অপকর্ম করেছে ফুয়াদ তাকে কেন আটক করা যাচ্ছে না এটাই প্রশাসনের নিকট আমার প্রশ্ন?
এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলেন, সব অপরাধি সমান কেউ ছাড় পাবে না। প্রশাসন। ফরিদপুরকে একটি সুন্দর একটি পরিবেশ উপহর দেওয়ার জন্য কাজ করছে। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে আশাকরি বাকীরাও আটক হবে।
Leave a Reply