নগরকান্দা কাইচাইলের কবির হোসেন ঠান্ডু ও বিপব বাহিনীর বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট মামলার চার্জশীট হয়নি ২১ মাসেও
বাদী হুমকির মুখে এলাকাছাড়া
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার কাইচাল ইউনিয়নের নিবাসী শাহেদা বেগম, স্বামী ঃ ইব্রাহিম মিয়া, সাং- দক্ষিন কাইচাল, গত ৩/৯/২০১৯ইং তারিখে (১) কবির হোসেন ঠান্ডু (২) গিয়াস, (৩) মন্টু, সর্বপিতা- মৃত: নান্নু মিয়া, সাং- বাবুর কাইচাইল বিপব বাহিনীসহ ২২জন এজাহার নামিয় ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বির“দ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ আগস্ট ২০১৯ইং তারিখ হইতে ৪ মাস ব্যাপী মালামাল লুটতরাজ, ঘরের ভিতরে মালামাল ভাংচুর, গর“-ছাগল ও জমির ফসল উত্তোলন করে নিয়ে যায় আসামীরা। প্রত্যেক ঘরের খাট আলমারী, সোফা, ডাইনিং টেবিল, গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার, ফ্রিজ, টিভি, স্বর্ণালংকার, সোকেশ, ওয়ারড্রপ, ফ্যান, চেয়ারটেবিল, কম্পিউটার, নগদটাকা, পরনের কাপড়, টিউবয়েলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি লুট করে নিয়ে যায়। যার প্রত্যক্ষদশর্ী স্বাক্ষী থাকা স্বত্বেও নগরকান্দার থানার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন ঠান্ডু, আসমা, বিপবগংদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। পরবতর্ীতে ডিবি পুলিশ উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ থাকা স্বত্বেও আসামীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলার বাদী শাহেদা বেগমের বির“দ্ধে ২১১ ধারায় তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে জমা দেন।
পরবতর্ীতে শাহেদা বেগম ঐ ফাইনাল রিপোর্টটি চ্যালেঞ্জ করে বিজ্ঞ আদালতে নারাজি দেন। আদালত নারাজি গ্রহণ করে মামলাটিকে ফরিদপুরের পিবিআইকে পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআইয়ের এস.আই ফয়সাল আহমেদ তদন্তের দায়িত্বে আছেন।
মামলার বাদী শাহেদা বেগম জানান, মামলার আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা যথেষ্ট তথ্য নির্ভর স্বাক্ষী দেওয়ার পরও মামলার তদন্ত রিপোর্ট লুটেরাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভিন্ন দিকে মোর নেওয়ার আশংকা রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করেছ আসামীরা। মামলা প্রত্যাহার না করলে আমাকে মেরে ফেলবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এই মামলার আসামী চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু মিয়া এবং গোলাম মিয়া রসুল বিপব, আসমা, শাহিনা আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করে রেখেছে। তিনি যাতে ন্যায় বিচার পান সেই ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু মিয়ার মোবাইল নং- ০১৭১২-২৬১৩১০ এ একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন না এবং অন্যান্য আসামীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপুলিশ পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জানান মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
Leave a Reply