ফরিদপুরে বিএডিসি রক্ষক যখন ভক্ষক
স্টা
নিজস্ব প্রতিনিধি
ফরিদপুর বিএডিসি খাল খনন ও সেচ প্রকল্পর দায়িত্বরত প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকশলী মনিরুল ইসলামর বিরুদ্ধ ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতিথর অভিযাগ উঠেছে। জানা গেছে, বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একনক অনুমাদিত বিএডিসির মাধ্যমে উনয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজের মধ্যে রয়েছে ব্যারিড পাইপ দিয়ে সেচ নালার কাজ উনয়ন করা, খাল খনন, স্লুইচগেট নির্মান, কালভার্ট নির্মান, পাইপ কালভার্ট নির্মান, ভূগর্ভস্থ থেকে পানি তুলে সেচ নালার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করাসহ কয়েক ধরনের কাজ। এসব উনয়নমূলক কাজে ব্যাপক অনিময়মের অভিযােগ রয়েছে খাদে বিএডিসি বৃহত্তর ফরিদপুরে দায়িত্বরত প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকশলী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সুত্র জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৫ কোটি টাকার খাল খনন ও সেচ প্রকল্পর কাজ চলছে। বিএডিসির কাজ বিশেষ করে দুই ধরনর টেন্ডার হয়ে থাকে। যার একটি পূর্ণ ও অপরটি পূর্ত। কাজের টেন্ডারের ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার বেশি লেসে রেট দিবেন তিনি কাজ পাবেন। কানো ঠিকাদার কোনো কাজের বিপরীত কত লেসে রট দিবেন তা কেউ জানতে পারে না। একটি কটেশন স্টিমিটে আইডি থাকে। এই আইডি দিয়ে শুধুমাত্র প্রকল্পের দায়িত্বরত প্রকল্প পরিচালক জানতে পারবেন। এই প্রকল্প পরিচালক কাউকে সেই কাজের বিপরীতের আইডি নম্বরটি দিলে তিনি দেখে তার ইচ্ছামতো রেট লেসে দিয় টেন্ডার জমা দিল সই ঠিকাদার কাজ পাবেন। সেই ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকের সাথল যোগাসাজস সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারই কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকে- এমনি ঘটনা রয়েছে। ঠিক সেই অভিযাগ উঠেছে বৃহত্তর ফরিদপুরের দায়িত্বরত বিএডিসিরি প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকশলী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযাগ আছে, মনিরুল ইসলাম রাজধানী ঢাকায় ভিআইপি হোটেলে বসে তার যোগসাজসরে ঠিকাদারদের সাথে দেন-দরবার করে কটেশন স্টিমিটে আইডি দিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাজ পাওয়ার সুযোগ করে দেন। যাদের বেশিরভাগ ঠিকাদার ফরিদপুরের বাহিরে। যেকারনে ঐসব ঠিকাদারদের কাজের মান বুঝে নেয়ার তদারকিত গুরুত্ব থাকে না। তারা তাদের ইচ্ছামতো কাজ করে সহজেই বিল নিতে সক্ষম হন। যেকারনে ফরিদপুর বিএডিসির সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজের ব্যাপক অনিয়মর অভিযাগে বিস্তার প্রশ্ন উঠেছে, রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, এ দায় কার?
এ বিষয় ফরিদপুরে বিএডিসির তালিকাভূক্ত ঠিকাদারদের কয়েকজন অভিযাগ করে সরকারের উধর্তন কর্তপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন এবং তারা এই প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকশলী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল তদÍ করলে মূল রহস্য উঠে আসবে বলে দাবি করছেন।
এ বিষয় প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকশলী মনিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক গণসংহতিতে জানান, এই ধরনর সমস্যা থাকলে আমাদের উর্ধতন কর্তপক্ষ দেখবে। প্রায় এক বছর আগে কাজের টেন্ডার হয়েছে। যারা আমার বিরুদ্ধ অভিযাগ তুলছে, সব মিথ্যা।
Leave a Reply