করোনা কালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ফরিদপুর এর অধ্যক্ষের বিদেশ ভ্রমন
নিজস্ব প্রতিনিধি
বৈশিক মহামারী করোনা যখন দেশের মানুষ আতঙ্কিত এমন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ফরিদপুর এর অধ্যক্ষ ডা. প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান রন্জুর বিদেশ সফর নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ফরিদপুর
থেকে জানা যায়, ফরিদপুর জেলাসহ রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ জেলার করোনা রুগীদের পরিক্ষা এ কলেজ থেকে হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে প্রতিদিন ৫ শত করোনা পরিক্ষা করা হয়। এখানে আরো একটি পিসিআর ল্যাবের সংযোজনের কাজ সমাপ্তের পথে। যা এ মাসের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। এমন সময়ে অধ্যক্ষের বিদেশ ভ্রমনে জেলার মানুষের ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে।
কলেজের ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছু) অনেক প্রভাষকরা জানান, অধ্যক্ষ বিদেশে যাওয়ার সময়ে তার পছন্দে প্রভাষকদের বাদ দিয়ে অপছন্দের ডাক্তারকে করোনা বিভাগে চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। যার ফলে করোনা ইউনিটে একই ডাক্তার বার বার ডিউটি থাকায় ডিউটিতে তাদের হিমশিম খাওয়ার পাশাপাশি অবহেলাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে সাধরণ রোগীরা করোনা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,ডাঃ প্রফেসর মাস্তাফিজুর রহমান রন্জু হাল আমলের এক বিশাল আওয়ামিলীগ নেতা। আওয়ামীলীগ সরকারের ২য় মেয়াদে রাজবাড়ীতে জন্ম নেওয়া জামাত নেতার গুনধর পুত্র বিশিষ্ট চিকিৎসক নেতার পক্ষে এডহকের মাধ্যমে ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সেই দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের মাধ্যমে বিএনপি, জামাত ঘরানার সহস্রাধিক চিকিৎসককে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেন। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বিশাল অংকের অবৈধ অর্থ তিনি এবং তার ওস্তাদ অর্জন করেন। সেই অর্থ দিয়েই তিনি কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি করেন বলে জনশ্রুতি আছে। এই মুহুর্তে সারা পৃথিবী যখন করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত। স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক সহ সকল কর্মিদের যখন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন, এটা সত্যিই চরম দুঃখজনক। যেহেতু তিনি সরকারী চাকুরিতে কর্মরত, ছুটি ছাড়া তিনি ইমিগ্রেশন পার হতে পারার কথা নয়। কারা তাকে ছুটি দিল, কেনই বা দিলো, তার সকল বিষয়ে বিচার বিভাগীয় এবং দুদকের মাধ্যমে কঠিনভাবে তদন্ত হওয়ার জোর দাবী জানায় এলাকাবাসী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ফরিদপুর এর অধ্যক্ষের সহকারী জেসমিন আরা বলেন, অধ্যক্ষ গত বুধবার ক্যানাডা গিয়েছে। তবে কতো দিনের ছুটি নিয়েছে বা কোন তারিখে ছুটি ইস্যু হলো তা তিনি বলতে পারে নাই।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো, সাইফুর রহমান বলেন, আমার এখানে ডাক্তারের প্রয়োজন হলে বঙ্গবন্ধু মেিিডিকেল কলেজ থেকে আনতে হয়। এসময় করোনা ডেকিকেটেড হাসপাতাল থেকে এতো পরিমান ডাক্তার অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরবে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা বেেলেন, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কেেলেজ হাসপাতাল থেকে যে ডাক্তার অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে এ বিষয়ে আমাদের তরফ থেকে তা বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অধ্যক্ষর ব্যপারে তিনি বলেন, মন্ত্রনালয় তাকে ছুটি দিয়েছে। তিনি না থাকলেও কোন অসুবিধা হবে না।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মো মাহ্ফুজুর রহমান বুলু বলেন, তার মতো এমন একজন দয়িত্বশীল কর্মকর্তা এমন কাজ করবে তা মেনে নেওয়া যায় না।
ফরিদপুর স্বাচিবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা, এম এ জলিল বলেন, অধ্যক্ষে বিদেশ ভ্রমন স্বাস্থ্য সেবায় নীতিবাচক প্রভাব পরবে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
Leave a Reply