কেমন আছে
আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী
নিজস্ব প্রতিনিধি
কেমন আছে ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহহীন সাড়ে তিন হাজার শুবিধাভোগীরা। জেলার বিভিন্ন এলাকার ছিন্নমুল এসব পরিবার নতুন ঠিকানায় কিভাবেই বা জীবন যাপন করছে।
জানা গেছে, “দেশের ছিন্নমূল জনগোষ্টির একজনও গৃহহীন থাকবে নাচ্ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় ফরিদপুরের নয়টি উপজেলায় তিন দফায় সর্ব মোট তিন হাজার ৬ শত ৭টি ঘর নির্মিত হয়। গত বছরের নভেম্বর থেকে এ সকল ঘরের নির্মান কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে ঘরগুলো নির্মান শেষের পর্যায়ে রয়েছে। তবে বেশীর ভাগ ঘর শুবিধাভোগিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকা রাস্তার ধারে কিংবা ক্ষেতের মধ্যে খাস জমিতে একটি লাল টিনের ঘর। ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, রান্না ঘর, টয়লেট সাথে বারান্দা ব্যবস্থা। ঘরসহ দুই শতাংশের বরাদ্ধ পাওয়া শুবিধা ভোগীরা নতুন করে সংসার গোছানোয় নানা ধরনের পরিকল্পনায় ব্যাস্ত সময় পার করছে। কেউ হাস-মুরগি কিংবা গবাদি পশু পালন করছে। কেই আবার স্বল্প জমিতে ফলজ গাছের পাশাপাশি নানা ধরনের গাছ লাগাচ্ছে। নতুন ঘর হলেও এটাই তাদের স্থাযী বসবাসের ঠিকানা, তাই যেটুকুই পেয়েছে তার মধ্যে জীবন গড়ার প্রত্যয়ে স্বপ্নে বিভোর এসব আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।
আলফাডাঙ্গার অন্ধ ভিক্ষক মেহেরুন নেছা জানালো, ভাবতেই পাারছি না আমার মতো অন্ধ মানুষের একটা বাসস্থান হবে। ঘর পেয়ে আমি অত্যান্ত খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদের পাশাপাশি তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
সদর উপজেলার ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের রহিমা খাতুন, জাহাঙ্গির শেখ ও রুবিয়া বেগম বলেন, আমরা এখানে এসেছি সপ্তাহ খানেক আগে। ১২ ঘরে আমরা বিভিন্ন স্থানের ১২ টি পরিবার নতুনভাবে বসবাস করছি। নতুুন ঘরে নতুন পরিবারের সাথে মানিয়ে নিচ্ছি। এবারের ঈদটি আমদের কাছে উৎসবের মধ্য দিয়ে কাটবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা বলেন, তিনটি ধাপে ফরিদপুর সদর উপজেলায় মোট ৪ শত ৬৫ টি ঘর বরাদ্ধ পায়। এরমধ্যে বেশীর ভাগ ঘরের কাজ সম্পর্ন হয়ে গেছে। সরকার আশ্রায়ন প্রকল্পের শুবিধাভোগীদের একটি দৃষ্টিনন্দন ঘর ছাড়াও পানি, বিদ্যুৎ সব ধরনের সুবিধা পাচ্ছে বিনা খরচে।
নগরকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রু বলেন, আমার উপজেলায় ৩ শত ২৫টি ঘর বরাদ্ধ পেয়েছি। যার মধ্যে ১০৫ টি নির্মান শেষে গৃহহীনদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বাকী কাজ চলমান রয়েছে দ্রুত এর কাজ সম্পন্ন করা হবে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরকাতলাসুরে নির্মিত হচ্ছে “স্বপ্ন বিলাসচ্। যার মধ্যে রয়েছে তিন শতটি ঘর। এখানে রয়েছে মসজিদ-মন্দির, ঈদ গঁা, খেলার মাঠ, শিশু পার্ক, ইকো পার্ক, কবরস্থান-শ্বষান, বাজার সহ সব ধরণের সুবিধা এমনটি বললেন, উপজেলাটির নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রসশকের সমম্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বনন্দিত মহতি এই উদ্যোগটি বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা টিম হিসাবে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জেলার এ সব আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রান্তিক জনগোষ্টির জীবনের মান উন্নয়ন হবে বলে আমি আশাবাদ ব্যাক্ত করছি।
Leave a Reply