ফরিদপুরে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি
ফরিদপুরে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সোমবার শুরু হচ্ছে। জগতের মঙ্গল কামনায় এবার দেবীর আগমন ঘটকে যাবে দোলনায়। মহামারী, অসুখ, আর মৃত্যুতে দূগার্র আগমন ঘটেবে আর সবকিছু ধুয়ে মুছে দূর্গা নিয়ে যাবে দোলনায়। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গা বিদায় নেবেন দোলনায় চড়ে। শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে তিনি বাপের বাড়ি বেড়াতে মতর্যলোকে আসছেন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজোর প্রথম দিনে ফরিদপুরের ৭৮৪টি মন্দিরে মন্দিরে চলছে সাজঁ সাজঁ রব। পূজোকে নির্বিগ্ন করতে প্রশাসনের তরফ থেকে হাতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। কোভিড বিধি বিধান মেনে মন্দির গুলোতে চলছে পূজোর প্রস্তুতি।
খষ্ঠীর প্রথম দিন দেবী দুর্গাকে বোধনের দিন। দেবীপক্ষে ষষ্ঠীতে দুর্গাকে বোধন করে পুজো করেন রাম। এ দিন কল্পারম্ভ দিয়ে শুরু হয় দুর্গার বোধন। ষষ্ঠীর সকালেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তার পর দশভূজার সামনে প্রার্থনা করা হয় যে, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত গোটা পূজা পর্বে যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে। এর পর ঘট ও জলে পূর্ণ একটি তামার পাত্র মন্ডপের কোণে স্থাপন করা হয়। এই স্থানেই দুর্গা ও চন্ডীর পুজো করা হয়। এর পর হয়, দুর্গার বোধন। তার পর অধিবাস, আমন্ত্রণের পর্ব। বোধনের পর বিল্ব শাখার দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। অশুভ শক্তি দূরের জন্য ঘটের চারপাশে তীরকাঠিতে সুতো জড়িয়ে আমন্ত্রণ প্রক্রিয়া শুর হয়। এ ভাবেই শেষ হয় মহাষষ্ঠীর আচার।
পুরাণে আছে, অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিলেন। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হলো এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা
Leave a Reply