এম.এ.আজিজ,ফরিদপুর :
নিজের ভবিষ্যত চিন্তা করে, কে না চায় নিজে চাকুরী করে নিজের জন্য কিছু করা। এদিকে সংসারে অভাব অনটন ছিল। তাই চিন্তা করলো চাকুরী কিভাবে করবে। শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন ছিল না। তাই আবার বিদেশ যাবে চাকুরী করবে। এর আগে ওমানে চাকুরী করে বেশ ভালই ছিল। বাড়ির অবস্থা তেমন ভাল ছিল না। পিতা একজন দরিদ্র কৃষক। তাই ঠিক করলো আবার বিদেশ যাবে। ফরিদপুর কোতওয়ালী থানার কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদাহ গ্রামের দরিদ্র কৃষক মজিবর মন্ডলের বড় কন্যা রুমা আক্রারী তার পাশের গ্রামের আলম নামের এক লোকের সাথে কথা হয় বিদেশে যাবে সে চাকুরী করবে। এদিকে রুমার পারিবারিক দুখের কথা শুনে আলম আশ্বাস দেয় সে রুমাকে চাকুরী দিয়ে বিদেশে পাঠাবে। কথা বাতার্ সব ঠিক হয়ে গেল। রুমা আক্রারীকে গত ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ২ বছর মেয়াদের চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবে চাকুরী দিয়ে পাঠিয়ে দেয় আলম নামের সেই লোকটি। এদিকে মেয়াদ ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ শেষ হতে না হতেই মেয়ের মা জহুরা বেগম ও পিতা মজিবর মন্ডল সেই পাশের গ্রামের আলমকে বলে আমার মেয়ে রুমাকে ফিরিয়ে আনো, তা না হলে মামলা করবে। অবশেষে মেয়েটির মা জহুরা বেগম বাদি হয়ে আলমের বিরুদ্ধে আদালতে মানব পাচঁারের একটি মামলা করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরোজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায় অনেক রহস্য। রুমা আক্রারীর বাড়িতে গিয়ে তার মাতা-পিতা এবং গ্রামের কিছু লোকজনের সাথে কথা হয়,আলাপকালে উপস্থিত মেয়েটির মামা ছবেদ বেপারী বলেন,মামলাটি আমি করাইছি কারণ অনেকদিন যাবত মেয়েটির সাথে কথা হয়না তাই। তবে আমরা মেয়ে ফেরত চাই। একই কথা বলেন রুমার মাতা-পিতা। পাশের বাড়ির সিদ্দিক মন্ডল বলেন,মেয়ের মা জেদ ধরেছে তার মেয়েকে ফেরত আনতে হবে। পাশের বাড়ির সিদ্দিক জানায়,যেহেতু আমার সন্তান দুইটি সৌদি আরব থাকে,তারা ভালই আছে। করোনার রোগ আসার পর আর তেমন যোগাযোগ নাই। কি বলবো এটা তাদের ব্যাপার সুর মিলিয়ে এলাকার অনেকেই একই কথা বলেন। শেষে গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তি হেলাল জানান, ওনার মেয়ে রুমা সৌদি আরব আছে, শুনেছি ভালই আছে। পরে এলাকার জলিলের মেম্বর বলেন, এনিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বসা হলে মামলার বিষয় নিয়ে একটি মিমাংসা হয়। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ২ বছর মেয়াদ পুর্ন না হওয়া পযন্র্Í মেয়েকে সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী আসতে দেবে না। যদি মেয়েকে মেয়াদের আগে দেশে আনতে হলে প্লেনের টিকিটের টাকা এবং অন্যান্য খরচ মেয়ের পরিবারবর্গকে বহন করতে হবে। এদিকে মামলাটি প্রত্যাহার করতে যে খরচ হয় তা আলমকে বহন করতে হবে। তারপর করোনা রোগ আসায় আর কোনো যোগাযোগ কেউ করেনি।
এদিকে আলম জানায়,সৌদি আরবে মেয়েটি যে মালিকের বাসায় থাকে, তিনি একজন মাদ্রাসার শিক্ষিকা এবং সেই শিক্ষিকার স্বামী সৌদি আরবের একজন উচ্চ পদস্থ্য পুলিশ কর্মকতার্। আমি নিজেই আলমকে নিয়ে সৌদি আরবে ঢাকার সেই ট্র্যাভেলস এর কর্মকতার্র মাধ্যমে কথা বলি এবং রুমা আক্তারীর সাথে কথা হয় রুমা জানান,আমি ভালই আছি। আমার জন্য কেউ যেন চিন্তা না করে। আমি বললাম তোমার মা-বাবা মামলা করছে। এখন কি করবা তুমি কি দেশে আসতে চাও নাকি ওখানে থাকবা উত্তরে রুমা জানায়,আমার মেয়াদ নভেম্বর মাস পযন্র্Í। মেয়াদ শেষ করে দেশে আসবো। এখন দেশে আইস্যা কি করবো। মামলার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে রুমা জানায়,আমার মা ভাল না। মানুষের কথা শুনে। গ্রামের কেউ উস্কানী দিয়া মামলা করাইছে। এর আগেও আমি ওমানে গিয়েছিলাম এভাবেই দেশে ফিরে আসার জন্য চাপ দিতো। এখন আমি কি করবো বলেন।
Leave a Reply