ভাঙ্গায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার আবাদঃবাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় খুশি এলাকার কৃষকরা
ভাঙ্গা প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ব্যাপক সরিষার আবাদ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মাঠে মাঠে এখন হলুদের গালিচা। প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য মাঠ ছাপিয়ে এখন পল্লীর মেঠােপথেও শােভা পাচ্ছে।সরিষা ফুলের মৌ মৌ করা গন্ধ,মৌমাছির গুঞ্জন ও পাখপাখালির কিঁচির মিচির ডাক পল্লীপ্রকৃতির চিরচেনা রুপে মুগ্ধ সকলেই। সেই সাথে কৃষকরা স্বপ্ন দেখছেন সরিষার ভাল ফলনের। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরিষার লক্ষমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬,শ ৫০ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ৭, শ ২০ হেক্টর।অর্জিত লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।সরকারের পক্ষ থেকে ৩ হাজার কষককে প্রনােদনা কর্মসূচীর আওতায় সার ও বীজ প্রদান করা করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাঠ ছাপিয়ে গ্রাম্য সড়ক ও মহাসড়কের পাশেও সহজেই চােখে পড়ছে সরিষার মনােরম দৃশ্য। শীতের শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদর মােড়ানাে মাঠ জুড়ে কেবলই চােখে পড়ছে হলুদের সমারােহ। প্রকৃতির পালা বদলের খেলায় এ ঋতুতে হলুদের চাদরে ঢাকা পড়ছে ফসলের মাঠ। এ বছর অনুকুল আবহাওয়া,কৃষিবিভাগের সার্বিক সহযােগিতা এবং সুষম মাত্রায় সার প্রয়ােগের ফলে কৃষকরা সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এ বছর ভােজ্য তেলের চাহিদা এবং তেল বীজের বাজার মূল্য ভাল থাকায় কৃষকরা যথেষ্ট সরিষার আবাদ করেছেন।
ভাল ফলনের আশায় এলাকার কৃষকরা সার,নিড়ানী দিয়ে রাতদিন পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার চৌকিঘাটা গ্রামের কৃষক আমির হোসেন বলেন, এ বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি মাঠের যে অবস্থা তাতে বাম্পার ফলনের আশা করছি। এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর শেখ,ইমরান মিয়া সহ অনেকেই সরিষা চাষ করে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রমজান আলী বলেন, আমরা কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনার মাধ্যমে ভাল মানের বীজ ও সার প্রদান করেছি। সঠিক পরামর্শ আর সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের ফলে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংসু দাস বলেন, ভাঙ্গা উপজলায় এবার সরিষার লক্ষমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬,শ ৫০হেক্টর। লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ৭,শ ২০ হেক্টর ।সরকারের পক্ষ থেকে ৩ হাজার কৃষককে প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় সার ও বীজ আধুনিক এবং যেসব সরিষা অধিক উৎপাদনশীল সেসব জাতগুলা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছি। আমরা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। এছাড়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে ও পরামর্শে ভাল ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
Leave a Reply